কুষ্টিয়া শহরের লাল্টু হত্যা মামলায় আসামি লিটনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
কুষ্টিয়া মডেল থানার দোকান কর্মচারী যুবক হত্যা মামলায় এক যুবকের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার শহীদ লিয়াকত হোসেন সড়কের মৃত: দেলোয়ার হোসেনের পূত্র লিটন (৩২)। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ জুন রাত সাড়ে ১১টায় শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় ৩নং স্কুল সংলগ্ন জনৈক নয়নের দোকানের সামনে গার্মেন্টস দোকান কর্মচারী ইয়াছির আরাফাত লাল্টু চিপস কিনে খাওয়ার সময় আকস্মাৎ আসামী লিটন এসে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে লাল্টুকে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত লাল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাল্টুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরদিন ২১জুন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাল্টুর মৃত্যু হয়। এই এঘটনায় নিহত ইয়াছিন আরাফাত লাল্টুর পিতা খন্দকার সামসুল আলম কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিটনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ। কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌশুলী(পিপি) এ্যাড, অনুপ কুমার নন্দী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার এই হত্যা মামলাটিতে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে চার্জ গঠন পূর্বক দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় পেনাল কোড দ:বি ৩০২ধারায় আসামী লিটনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।